মাত্র ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ষষ্ঠ দিনের মতো দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন তারা।

গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে কাঁচা পাতা সংগ্রহসহ চা কারখানার সকল কার্যক্রম। চা শিল্পের অচলাবস্থা নিরসনে গত বুধবার ঢাকায় শ্রম অধিদফতরে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর নেতেৃত্বে বিকেল ৫টার শুরু হয়ে রাত ১১ টায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

বৈঠকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ১২০ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু শ্রমিক নেতারা প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বালিশিরা ভ্যালির ৬৪টি চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির এক সভা হয়। সভায় পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।